এখন ঘরে বসেই অতি সহজে আপনি অথবা আপনার বাচ্চার জন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে পারবেন। আজকের এই ব্লগের মূল বিষয় হলো আপনারা কিভাবে ঘরে বসে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করবেন বর্তমানে ওয়েবসাইটে কিছু পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড চাচ্ছে। এটি শুধু ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষের কাছেই রয়েছে কিন্তু আজকে আমরা দেখাবো আপনি কিভাবে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ছাড়াই আপনার অথবা আপনার বাচ্চার জন্য জন্ম নিবন্ধনের আবেদনটি করবেন। আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য যদি আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি আবেদন করতে পারবেন নিচে আবেদন করার পদ্ধতি এবং ধাপগুলো বর্ণনা করা হলো; Table of Contents Toggle অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদননতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদনধাপ ১ ওয়েবসাইট ভিজিট।ধাপ ২ কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে চান।ধাপ ৩ নিবন্ধনকারীর পরিচিতি।ধাপ ৪ পিতা মাতার তথ্য।ধাপ ৫ জন্মস্থানের ঠিকানা।ধাপ ৬ আবেদনকারীর প্রত্যয়ন।নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন আবেদন শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জন্ম নিবন্ধন আবেদন সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে গিয়ে করা সম্ভব অথবা ঘরে বসে অনলাইনে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার মাধ্যমে আবেদন করা সম্ভব। অনলাইনে আবেদন করতে হলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে https://bdris.gov.bd/br/application ভিজিট করতে হবে। এরপরে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন আপনি যদি আপনার সন্তান কিংবা অন্য কারো জন্য জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে চান তাহলে নিচে দেখানো পদ্ধতি অনুসারে খুব সহজেই আবেদন করতে পারবেন। ধাপ ১ ওয়েবসাইট ভিজিট। প্রথমে https://bdris.gov.bd এই ওয়েবসাইটটিতে ভিজিট করবেন এরপরে আপনারা দেখতে পাবেন ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড চাইবে তারপর আপনারা https://bdris.gov.bd/home লিখে সার্চ করবেন তখন, প্রথম লিংকে দেওয়া ভিজিট করবেন। এরপর নিচের মত অপশন দেখতে পাবেন। এখানে জন্ম নিবন্ধন আবেদন লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে ধাপ ২ কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে চান। উপরের অপশনটিতে ক্লিক করার পরে আপনার সামনে এরকম একটি অপশন আসবে আপনি নিম্নলিখিত কোন ঠিকানায় জন্ম নিবন্ধনের আবেদন করতে চান। আপনি যদি স্থায়ী ঠিকানায় করতে চান স্থায়ী ঠিকানার উপরে ক্লিক করবেন। আর জন্মস্থানের ঠিকানা করতে চাইলে জন্মস্থান এর উপরে ক্লিক করবেন এরপরে পরবর্তী বাটনে ক্লিক করবেন। ধাপ ৩ নিবন্ধনকারীর পরিচিতি। এখানে নিবন্ধনকারীর পরিচিতি লেখা একটি অপশন আসবে ঠিক এইরকম অপশনটিতে আবেদনকারীর নামের প্রথম অংশ বাংলায় এবং নামের শেষ অংশ বাংলায়। এরপরে নামের প্রথম অংশ ইংরেজিতে এবং নামের শেষ অংশ ইংরেজিতে। এরপর জন্ম তারিখ দিবেন তখন আপনার সামনে একটি অপশন শো করবে আপনার জন্ম তারিখ অনুযায়ী কিছু ডকুমেন্ট চাইবে। যদি সেগুলো আপনার কাছে থাকে তাহলে আপনি আমার কাছে এই ডকুমেন্টগুলি আছে সেই অপশনটিতে ক্লিক করবেন। যেখানে পিতা ও মাতার কততম সন্তান, লিঙ্গ- জন্মস্থানের ঠিকানা; দেশ, বিভা্ ডাকঘর বাংলায় ডাকঘর ইংরেজিতে, গ্রাম পাড়া মহল্লায বাংলা এবং ইংরেজিতে, ভাষা সড়ক নাম অথবা নাম্বার বাংলায় এবং ইংরেজিতে সমস্ত ডকুমেন্ট দেওয়ার পরে পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করবেন। ধাপ ৪ পিতা মাতার তথ্য। এই অপশনটিতে আপনার সামনে ঠিক এরকম একটি অপশন শো করবে এখানে আবেদনকারীর পিতার তথ্য; আবেদনকারীর পিতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর। পিতার নাম বাংলায় এবং ইংরেজিতে। পিতার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর ওপিতার জাতীয়তা। এরপরে আবেদনকারীর মাতার তথ্য; মাথার জন্ম নিবন্ধন নম্বর। মাতার নাম বাংলায় এবং ইংরেজিতে। মাতার পরিচয় পত্র নম্বর ও মাতার জাতীয়তা। এরপরে পরবর্তী বাটনটিতে ক্লিক করবেন আর যদি আপনার কোন সন্দেহ থাকে যে পিছনে বা পূর্বে যে ফর্মগুলো পূরণ করেছেন তাতে কোন ভুল রয়েছে তাহলে আপনি পূর্ববর্তী বাটনটিতে ক্লিক করে পূর্বের সকল তথ্যগুলো দেখতে পারবেন। ধাপ ৫ জন্মস্থানের ঠিকানা। এখানে একটি অপশন আসবে যাতে লেখা থাকবে কোন ঠিকানা আপনি আপনার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তখন আপনারা কোনোটিই নয় তে ক্লিক করবেন করার পরে দেখবেন এরপরে দেখবেন জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা লেখা একটি অপশন আসবে সেখানে ক্লিক করবেন এবং ক্লিক করার পরে দেখতে পারবেন আপনার যে সকল ঠিকানা আপনি পূর্বে দিয়েছিলেন সেগুলো পুনরায় আবার আপনার সামনে আসবে। এরপরে আপনি পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করুন। ধাপ ৬ আবেদনকারীর প্রত্যয়ন। এরপরের ধাপে আপনারা দেখতে পাবেন এইরকম একটি অপশন আপনাদের সামনে এসেছে। এখানে আবেদনকারীর প্রত্যয়ন চাওয়া হয়েছে। নিবন্ধিত ব্যক্তি 18 বছরের নিম্ন বয়স্ক হলে তাহার পিতা বা মাতা বা আইনানুক অভিভাবক বা বিধি ৯ মতে ক্ষমতা প্রাপ্ত ব্যক্তি নিম্নে প্রত্যয়নপূর্বক স্বাক্ষর প্রদান করিবেন। যদি আবেদনকারী আপনি নিজেই হন তাহলে নিজ অপশনটিতে ক্লিক করবেন আর যদি আবেদনকারীর অভিভাবক, পিত্ মাতা ওই জায়গায় যে অপশন গুলো আছে তার ভিতরে যে কোন একটি হন তাহলে সেটার উপরে ক্লিক করবেন। এখানে যদি নিজ বাদে অন্য কোন অপশন সিলেক্ট করেন তাহলে তার তথ্য দিতে হবে। নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন এরপরে সংযুক্তি নামে একটি অপশন দেখবেন এখানে লাল মার্ক দেওয়া আছে এই জায়গায় আমি আগেই বলেছিলাম জন্ম তারিখ দেওয়ার পরে যে ডকুমেন্ট গুলো দেওয়া হয়েছিল সেগুলোকে আগে থেকেই স্ক্যান করে আপনার কম্পিউটারে রেখে দিবেন। এবং সেগুলোকে পিডিএফ ফাইল করে সর্বোচ্চ 100 কিলোবাইটের ভিতরে আপনি ফাইল করে রেখে দিবেন এরপরে এখানের সংযোজন যে অপশনটি সেটির উপরে ক্লিক করে একটি একটি ফাইল আপনি এখানে সংযুক্ত করবেন এরপরে পরবর্তী অপশনটিতে ক্লিক করুন। এখন দেখতে পাবেন আপনাদের সামনে আপনাদের সকল তথ্যগুলো চলে এসেছে সেগুলো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে দেখবেন যে সকল তথ্য ঠিক আছে কিনা সকল তথ্য দেখার পরে নিচে একটি অপশনে দেখবেন আপনার ফোন নাম্বার চেয়েছে সেখানে ফোন নাম্বারটি দিয়ে ওটিপি পাঠান অপশনটিতে ক্লিক করবেন। এরপরে আপনার ফোনে একটি otp আসবে সেই ওটিপি কোটি বসিয়ে আপনি সাবমিট এ ক্লিক করুন। সাবমিট এ ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন আপনার জন্ম নিবন্ধন আবেদনটি সফল হয়েছে। আবেদনপত্র কালেক্ট এবং জমা দেওয়ার নিয়ম এরপর আপনাকে একটি আবেদন পত্রের নাম্বার দেওয়া হবে ।এর পরে দেখতে পাবেন একটি তারিখ দেওয়া হয়েছে সেই তারিখের ভিতরে আপনার কাগজপত্র সহ আপনার নিবন্ধনকে কার্যালয় চলে যাবেন। আপনার কার্যালয়ের নাম ঠিকানা ওই জায়গায় লেখা থাকবে। আপনি সেই কার্যালয়ে যাবেন গিয়ে আপনার কাগজপত্র গুলোকে সাবমিট করলে উক্ত কার্যালয়ের কর্মকর্তারা আপনার নিবন্ধন কার্ডটি অনুমোদন করে দেবে। এরপরে অনলাইনে মাধ্যমে আপনার জন্ম নিবন্ধন কার্ডটি প্রিন্ট হয়ে যাবে সেটা আপনি তাদের কাছ থেকে কালেক্ট করে নিবেন। এরপরে আবেদনপত্র প্রিন্ট নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন সেখানে ক্লিক করে আপনি আপনার আবেদন পত্রটি প্রিন্ট করে নিবেন। জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য ভিজিট করুন ওয়েব সাইটে questionhack.com Post navigation জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার নিয়ম ও পদ্ধতি? ইউনিয়ন পরিষদ জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড