সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আমি আজকে বাংলাদেশের বহুল পরিচিত একটি সমস্যা। ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড এর ব্যাপারে আপনাদের সাথে সংক্ষিপ্ত কিছু আলোচনা করব আশা করি উক্ত আলোচনায় আপনারা উপকৃত হবেন।আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

আপনি কি নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন এবং এখনো আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) হাতে পাননি? চিন্তার কোন কারণনেই। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে NID কার্ড অনলাইনে ডাউনলোড করা সম্ভব। এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে ধাপে ধাপে দেখাবো কিভাবে আপনি আপনার NID কার্ড অনলাইনে ডাউনলোড করতে পারেন।

আমাদের এই ব্লকটিতে আপনারা সুন্দরভাবে দেখে নিন কোন কোন প্রক্রিয়ায় আপনি ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমেই          NID কার্ড অথবা আপনার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।

কেন অনলাইনে NID কার্ড ডাউনলোড করবেন?

সময় বাঁচানো: আপনাকে আর নির্বাচন কার্যালয়ে যেতে হবে না।

সুবিধা: আপনার বাড়ি থেকেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন।

সহজ: প্রক্রিয়াটি খুব সহজ এবং বেশিরভাগ মানুষই এটি নিজে করতে পারবেন।

nid card download

আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা এনআইডি কার্ডটি আপনার ডাউনলোড করতে যে সকল তথ্য সমূহের প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো: আপনার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম নাম্বার, জন্ম তারিখ, আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং আপনার ফেস ভেরিফিকেশন।  এছাড়া নতুন ভোটারদের জন্য নতুন করে সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে নতুন ভোটাররা চাইলেও এনআইডি কার্ড অনলাইন এর মাধ্যমে ডাউনলোড করতে পারবেন। আমার এই পোস্টটি মূলত নতুন এবং পুরাতন উভয় ভোটারদের জন্য।

আপনার ভোটার আইডি কার্ড দেখে নিশ্চিত হওয়া এবং ডাউনলোড করার জন্য আপনার যে সকল ডকুমেন্ট এর দরকার হবে

সে ডকুমেন্টগুলো নিচে দেওয়া হল:

ধাপ ১-

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড ২০২৩

  •  প্রথমত আপনি যখন ভোটার নিবন্ধন করেছিলেন তখন আপনাকে একটি ভোটার স্লিপ দিয়েছিল এবং সেখানে একটি নম্বর ছিল যেটাকে আমরা সাধারণত স্লিপ নম্বর বলি সেই নম্বরটি অথবা আপনার এনআইডি নাম্বার প্রয়োজন হবে।
  • এরপরে আপনার জন্ম তারিখ প্রয়োজন হবে।
  • আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা যেমন: আপনার বিভাগ, আপনার জেলা, আপনার উপজেলা, আপনার সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ওয়ার্ড এই সকল তথ্য প্রয়োজন হবে।ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড
  •  অবশ্যই আপনার কাছে একটি স্মার্টফোন থাকা লাগবে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য।
  •  এবং আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর যেটি আপনি ব্যবহার করেন এটি বলার কারণ হলো প্রসেসিং এর সময়  আপনার একটি(OTP) ভেরিফিকেশন করতে হবে।ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

আপনার মোবাইল নাম্বারের ইন্টারফেস দেখতে পাবেন সেখান থেকে নিচের অপশন বার্তা পাঠান অপশনটিতে ক্লিক করুন।এরপরেই। 6 সংখ্যার একটি ওটিপি আসবে সেই ওটিপিটি দিয়ে বহালে লেখায় ক্লিক করবেন।

বহালে লেখার উপরে ক্লিক করার পর আপনার সামনে আরেকটি পেজ চলে আসবে। সেই পেইজের একটু নিচে আসলেইদেখবেন ট্যাপ করুন লেখা আছে সেখানে ট্যাপ করে সেই ট্যাব করার অপশনটি কপি করে নিচে গুগল প্লে স্টোর

একটি অপশন আছে সেখানে ক্লিক করুন। সেখানে ক্লিক করে  আপনি গুগল প্লে স্টোরে চলে যাবেন।

ধাপ ২-NID Wallet অ্যাপ ইনস্টল করুন

NID Wallet অ্যাপ ইনস্টল করুনএক নাম্বার ধাপের শেষের অংশেই এনআইডি ওয়ালেট এ ইন্টার কিভাবে করব সেটা দেখানো হয়েছে প্লে স্টোরে যাওয়ার পরে NID Wallet নামে একটি অ্যাপস দেখতে পারবেন সেটি ডাউনলোড করে ওপেন করবেন।

ধাপ ৩- ফেইস ভেরিফিকেশন করুন

ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোডএরপরে ফেস ভেরিফিকেশন এর অপশনটি আসবে। আসার পরে নিচে দেখবেন তিনটি অপশন দেওয়া থাকবে ডানে বামে সোজা তাকানোর অপশন। ওইখানে যেভাবে ইনস্ট্রাকশন দিবে আপনারা ঠিক সেইভাবে ফেস ভেরিফিকেশনটি কমপ্লিট করেনিবেন। এরপরে ওকে করবেন ওকে করার পরে কিছু সময় অপেক্ষা করবেন মিনিমাইজ করবেন না কেটেও দিবেন না।
কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পারবেন যে সেট পাসওয়ার্ড আপনার ছবি সহ একটি পেজ চলে এসেছে। একটু নিচে যাবেন।

ধাপ ৪- পাসওয়ার্ড দেওয়ার প্রকৃয়া

এরপরে আপনি পাসওয়ার্ড দিবেন অবশ্যই সেটি ইউনিক পাসওয়ার্ড দিবেন।ভোটার আইডি কার্ডডাউনলোড এবং উপরের এড়িয়ে যাওয়ার অপশনটি আপনি ক্লিক করবেন।

ধাপ ৪-NID কার্ড ডাউনলোড করুন

NID কার্ড ডাউনলোড করুন

এরপরে আপনি দেখতে পাবেন আপনার স্মার্ট কার্ডের অপশনটি চলে এসেছে একটু নিচে যাবেন যাওয়ার পরে ডাউনলোড নামের একটি অপশন আসবে। আপনি সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিবেন।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন তারপরেও যদি কোন সমস্যা হয় কমেন্টে জানাবেন।

সংশোধিত ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

১। অনলাইন ডাউনলোড: সব ধরনের সংশোধনের পরে নয়, কেবল কিছু নির্দিষ্ট ধরনের সংশোধনের পরে

(যেমন নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি) সংশোধিত আইডি কার্ড অনলাইনে ডাউনলোড করা যাবে।

২। ঠিকানা পরিবর্তন: যারা ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে অনলাইনে ডাউনলোডের সুবিধা নেই।

তাদেরকে নতুন করে আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে হবে।

আপনি যখন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করেন,

তখন নির্বাচন কমিশন আপনার আবেদন পরীক্ষা করে। যদি আপনার আবেদন সঠিকভাবে পূরণ করা হয়।

এবং সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়, তাহলে আপনার আবেদন অনুমোদিত হবে।

অনুমোদনের পর আপনি এই ধরনের একটি মেসেজ পাবেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ:

এই মেসেজ পাওয়ার পর আপনি নিজের সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।

এটি করার জন্য আপনাকে নির্দেশিত ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে। সাধারণত, ধাপগুলো হলো:

  1. নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে যান:

    আপনাকে নির্বাচন কমিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।

  2. লগইন করুন:

    আপনার ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

  3. আবেদন পরীক্ষা করুন:

    আপনার আবেদনের স্ট্যাটাস পরীক্ষা করতে হবে।

4 . ডাউনলোড করুন:

যদি আপনার আবেদন অনুমোদিত হয়, তাহলে আপনি সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করার অপশন পাবেন।

সর্বশেষ কথা:

আপনাদের যদি আমার লেখাটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ভিসা সংক্রান্ত সকল তথ্য জানার জন্য আমার ওয়েবসাইট QuestionHack.Com ভিজিট করুন।

Avatar photo

By RAFIT SARIF

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার, ব্লগার ও গুগল/ইউটিউব এসইও বিশেষজ্ঞ। এই ওয়েবসাইটে ই-সার্ভিস ও সমাধান করার চেষ্টা করেছি! আমি কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশানে দক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *