স্মার্ট আইডি কার্ড একজন ব্যক্তির পরিচয়ের প্রধান দলিল। স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয় কাজ হল যে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই, এটি হারিয়ে গেলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

স্মার্ট কার্ড হারিয়ে গেলে করণীয়

১। থানায় জিডি করুন : প্রথমেই যে কাজটি করবেন তা হলো নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন।

জিডি করার সময় হারিয়ে যাওয়া কার্ডের বিস্তারিত তথ্য, হারানোর সময় ও স্থান উল্লেখ করবেন। জিডির একটি কপি সংরক্ষণ করে রাখুন।

২। নির্বাচন কমিশনে আবেদন : জিডি করার পর নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত কার্যালয়ে একটি আবেদন করুন। আবেদনের সময় জিডির কপি,

আপনার পরিচয় প্রমাণের অন্যান্য দলিল এবং প্রয়োজনীয় ফি জমা দিতে হবে।

৩। নতুন কার্ডের জন্য অপেক্ষা করুন : আবেদন গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন আপনার তথ্য যাচাই করে নতুন স্মার্ট আইডি কার্ড প্রস্তুত করবে।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে জানানো হবে কার্ডটি কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন।

হারানো স্মার্ট আইডি কার্ড পুনঃপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া: একটি সহজ ব্যাখ্যা

আপনার স্মার্ট আইডি কার্ড হারিয়ে গেলে নিশ্চয়ই আপনি চিন্তিত। তবে চিন্তা করার কোন কারণ নেই।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন আপনার জন্য একটি সহজ পদ্ধতি সরবরাহ করেছে।

আপনাকে কী করতে হবে:

১। আগারগাঁও হেড অফিসে যান: সরাসরি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আগারগাঁও হেড অফিসে যান।

২। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগে যান: অফিসে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের স্মার্ট কার্ড বিতরণী অথবা রিইস্যু বিভাগে যান।

৩। আবেদন জমা দিন : নির্ধারিত ফর্মে আপনার আবেদন জমা দিন। আবেদনের সাথে আপনার হারানো আইডি কার্ডের নাম্বার, জন্ম তারিখ এবং জিডি কপি যোগ করুন।

৪। ফি জমা দিন: স্মার্ট আইডি কার্ড পুনঃমুদ্রণের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিন। ফি সাধারণত আপনি কত দ্রুত কার্ডটি পেতে চান তার উপর নির্ভর করবে।

৫। তারিখ নির্ধারণ: আপনার আবেদন গ্রহণ করে কর্মকর্তা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট তারিখ দেবেন।

সেই তারিখে আপনি আপনার নতুন আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

৬। এসএমএস: আপনার আইডি কার্ড প্রস্তুত হলে আপনার মোবাইল নাম্বারে একটি এসএমএস পাঠানো হবে।

মনে রাখবেন:

  • জিডি কপি: জিডি এর কপি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
  • ফি: নির্ধারিত ফি জমা দিন।
  • তারিখ: নির্ধারিত তারিখে কার্ড সংগ্রহ করুন।
  • এসএমএস: এসএমএসের জন্য আপনার মোবাইল নাম্বার সঠিকভাবে দিন।

সহজ কথায়:

আপনার হারানো আইডি কার্ড ফিরে পেতে আপনাকে নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে একটি আবেদন জমা দিতে হবে।

আবেদনের সাথে কিছু কাগজপত্র এবং ফি জমা দিয়ে আপনি নির্ধারিত তারিখে আপনার নতুন আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরও তথ্যের জন্য: আপনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বা হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন।

আইডি কার্ড রি-ইস্যু

আইডি কার্ডের দুই প্রধান ধরন:

1. নরমাল আইডি কার্ড:

  • কাগজের তৈরি এবং লেমিনেট করা।
  • সাধারণত ব্যক্তিগত তথ্য ধারণ করে।
  • হারিয়ে গেলে অনলাইনে সহজেই পুনঃনির্গমন করা যায়।
  • পুনঃনির্গমনের খরচ কম।

2. স্মার্ট আইডি কার্ড:

  • প্লাস্টিকের তৈরি এবং একটি মাইক্রোচিপ সম্বলিত।
  • ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি অন্যান্য ডিজিটাল তথ্য ধারণ করতে পারে।
  • উচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে থাকে।
  • হারিয়ে গেলে পুনঃনির্গমনের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।
  • পুনঃনির্গমনের খরচ একটু বেশি।

পুনঃনির্গমন প্রক্রিয়া:

1. নরমাল আইডি কার্ড:

  • অনলাইনে আবেদন।
  • নির্ধারিত ফি জমা।
  • এক সপ্তাহের মধ্যে অনলাইনে কার্ড পাওয়া।
  • অনলাইন কপি ডাউনলোড করে লেমিনেট করলেই ব্যবহার উপযোগী

2.স্মার্ট আইডি কার্ড:

  • সাধারণত নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে আবেদন করতে হয়।
  • বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ, চোখের রেটিনা ইত্যাদি) প্রদান করতে হতে পারে।
  • পুনঃনির্গমনে সময় বেশি লাগতে পারে।
  • নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হতে পারে।

উল্লেখযোগ্য পার্থক্য:

  • সুবিধা: নরমাল আইডি কার্ড পুনঃনির্গমন করা সহজ এবং খরচ কম।
  • সুরক্ষা: স্মার্ট আইডি কার্ড উচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
  • তথ্য: স্মার্ট আইডি কার্ডে আরও বেশি পরিমাণে ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণ করা যায়।
  • প্রক্রিয়া: স্মার্ট আইডি কার্ড পুনঃনির্গমনের প্রক্রিয়া জটিল এবং সময়সাপেক্ষ।
    কোনটি ভালো?

এটি ব্যক্তিগত চাহিদা এবং ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। যদি আপনার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা এবং অতিরিক্ত ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষণের প্রয়োজন হয়,

তাহলে স্মার্ট আইডি কার্ড ভালো একটি বিকল্প হতে পারে। আর যদি আপনার জন্য সহজ এবং দ্রুত পুনঃনির্গমন এবং কম খরচই গুরুত্বপূর্ণ হয়,

তাহলে নরমাল আইডি কার্ড আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

আপনি কি আরও কিছু জানতে চান? উদাহরণস্বরূপ, আপনি কোন ধরনের আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান,

কিংবা পুনঃনির্গমনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান?

বিঃদ্রঃ:

এই তথ্যটি সাধারণ ধারণার উপর ভিত্তি করে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের সাথে যোগাযোগ করুন।

আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের অবশ্যই কাজে আসবে।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

কীভাবে আমি আপনাকে আরো সাহায্য করতে পারি?

Avatar photo

By RAFIT SARIF

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার, ব্লগার ও গুগল/ইউটিউব এসইও বিশেষজ্ঞ। এই ওয়েবসাইটে ই-সার্ভিস ও সমাধান করার চেষ্টা করেছি! আমি কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশানে দক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *